মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই এর সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী র্সাকুলার অনুযায়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তার মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে আমি একজন সাধারণ উদ্যোক্তা হিসেবে ১১ই নভেম্বর, ২০১০ ফেনী সদর ধর্মপুর ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে কাজ করি। ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র সম্পর্কে প্রথম দিকে সাধারণ মানুষের তেমন কোন ধারণা ছিল না। সাধারণ মানুষ কে তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের ভিবিন্ন সেবা সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার চালাই। প্রথম দিকে নেতিবাচক ধারনা থাকলেও পরবর্তীতে ইউনিয়ন বাসী বিষয়টি ইতিবাচক ভাবেই গ্রহন করে। আজ আমি একজন সফল উদ্যোক্তা । আমার পরিশ্রমের পাশা পাশি ব্যাপক প্রচার আমাকে সফলতা এনে দিয়েছে।
আমার ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা থেকে ডিসি অফিসে জমির পর্চার আবেদন সহ সকল পরিক্ষার ফলাফল, কৃষি সেবা, চাকুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ইন্টারনেট ব্রাউজ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইমেইল, স্বাস্থ্য তথ্য, অনলাইনে পাসপোর্ট ও ভিসা প্রসেসিং, ভুমি সংক্রান্ত তথ্য, ডিজিটাল ক্যামরায় ছবি তোলা হয়।ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে বিদেশে কথা বলা ও দেখা যায় ইত্যাদি সেবা পাওয়া যায়। কি কি সেবা পাওয়া যায় সে বিষয়ে ডিজিটাল ব্যানার লাগিয়ে স্কুলসহ গুরুত্বপূর্ন স্থানে লাগিয়ে দেই। শিক্ষকেরা তাদের স্ব স্ব স্কুলে ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে কি কি সেবা পাওয়া যায় সে বিষয়ে প্রচার থাকেন। এর পাশা পাশি পাড়া ভিত্তিক কমিউনিটি মিটিং ও বাড়ি বাড়ি উঠান বৈঠক ও চা দোকানে সেশন করতে থাকি। এভাবে আমার ধর্মপুর ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রটি সারা ইউনিয়ন ব্যাপি পরিচিতি হয়। শুধু তাই নয় ব্লগে লেখা লেখার কারনে ফেনী জেলা সহ সারা দেশে আমার ধর্মপুর ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রটি পরিচিতি লাভ করে। প্রচারের জন্য আমি এখন মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টের ব্যবহার করে আমার ইউনিয়নে বাজারে গ্রাম্য নাটক, মুক্তিযুদ্ধের উপর ছবি এবং বিপিএল খেলার সময় খেলা দেখিয়েছি। সমবায় মেলায়, একুশে মেলায় এবং বৈশাখী মেলায় স্টল দিয়ে মেলায় উপস্থিত ব্যক্তিদের বিনে পয়সায় বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরন, ইমেইল, ইন্টারনেট ব্রাউজিং কর প্রচার কার্য চালিয়ে যার ফলশ্রুতিতে আমি আজকে ফেনী জেলায় সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি। যার কারনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় এর এটুআই এর সহযোগিতায় ২০১২ সালের সারা দেশের শ্রেষ্ঠ্য ইউডিসি ও উদ্যোক্তা বাছাইয়ে তালিকায় আমার নামটি আসে, মাননীয় প্রকল্প পরিচালক, এন আই খান স্যারের পত্র অনুযায়ী নিয়ম ছিল জেলা প্রশাসন যে সমস্ত উদ্যোক্তা নিয়মিত রিপোর্ট আফলোড করেছেন, দৈনিক ব্লগে লিখে ষ্টার ব্লগার হিসেবে ইতিমধ্যে সুনাম অর্জন করেছেন। বিভিন্ন মেলায় অংশ গ্রহন করে ইউআইএসসির প্রচার প্রচারনা চালিয়েছেন এবং মাসিক আয় ভাল অর্থ্যাৎ ১০০% করেছেন তাহাদের নামের তালিকা পেরণ করিবেন। সে অনুযায়ী তৎকালীন মাননীয় জেলা প্রশাসক আবদুল কুদ্দুছ খান, জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমার নাম ও আমার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের নামের তালিকা টি এটুআই তে পাঠান এবং সর্বশেষ বাছাই ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমার ইউডিসি সহ আমাকে ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ্য ইউডিসি ও উদ্যোক্তা ঘোষনা দেয়া হয় শুধু তাই নয় বাংলাদেশ সরকারের ছাপাখানা থেকে ছাপানো বিশেষ ক্রোড়পত্রে মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পরেই আমার ছবি সহ ২০০ বাক্যের লিখা ছাপানো হয়। ফেনী শিল্পকলা একাডেমীতে ঢাকা থেকে আগত বিশেষ মেহমান অতিরিক্তি সচিব স্যার এর হাত দিয়ে আমাকে শ্রেষ্ঠ্যত্বের পরুস্কার তোলে দেন মাননীয় জেলা প্রশাসক ফেনী। এতে আমি সত্যিই গর্বিত তাই আমি বলি এই ইউআইএসসি আমার অহংকার এই ইউডিসি আমার গর্ব।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস